তরঙ্গটুডে

জেমসের স্মৃতিচারণে এন্ড্রু কিশোর

ফাইল ছবি

হ্যালোডেস্ক

কিংবদন্তি শিল্পী এন্ড্রু কিশোরের মৃত্যুতে স্মৃতিচারণ করলেন দেশের আরেক জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী জেমস। তার স্মৃতিচারণায় উঠে আসে হৃদয়স্পর্শী কিছু কথা।
জেমস বলেন, “এন্ড্রু দা আমার কয়েক বছরের সিনিয়র। আমরা একই অঞ্চলের মানুষ। একসঙ্গে তার সঙ্গে কত গল্প, কত স্মৃতি বলে বোঝাতে পারব না। একটি পত্রিকার অনুষ্ঠানে তার হাত থেকে আমি ক্রেস্ট নিয়েছিলাম।

তার হাসিমাখা মুখ আর ওই ক্রেস্ট নেওয়ার মুহূর্তের আনন্দটা ছিল অসাধারণ। সে সময় তার সঙ্গে কানে কানে কথা হয়েছিল। ‘কেমন আছেন সব ঠিকঠাক তো?’ মনে হয় দুষ্টুমির ছলেই এ কথাটা বলেছিলাম। এন্ড্রু দা শুনে হাসছিলেন।
তার হাসিমাখা মুখটা ভুলে থাকা কঠিন, সত্যিই অনেক কঠিন! এক রকম সরলতা সব সময় বিরাজ করত তার চোখে-মুখে। সেই সরলতামাখা মায়াভরা মুখ আর কখনও দেখতে পাব না, এটা ভাবতেই পারছি না।

এন্ড্রু দার সঙ্গে আমার শেষ কথা হয় তিনি যখন সিঙ্গাপুর চিকিৎসাধীন ছিলেন তখন। ফোনে তার সঙ্গে কথা হয় অনেক। দাদাকে আমি চিকিৎসা বিষয়ে কিছু পরামর্শ দিয়েছিলাম। ক্যান্সারের চিকিৎসা নেওয়ার সময় মাঝপথে মনে হয় ভালো হয়ে গেছি, এমন ভাবই হয়। যার ফলে অনেকেই আর পুরো চিকিৎসাটা করেন না। কেননা রোগী কিংবা তার স্বজনরা মনে করেন ভালো হয়ে গেছি। অনেক সময় ডাক্তাররাও সেটা মনে করেন।

একটা বিষয় আমি জানি, ক্যান্সারের জীবাণু, বিশেষ করে লিম্ফোমা যদি দ্বিতীয়বার ব্যাক করে তাহলে সেটা দ্বিগুণ শক্তি নিয়ে আসে। ডাক্তারের কাছেই শুনেছি। আমি এন্ড্রু দাকে বলেছি, আপনি কিন্তু পুরো চিকিৎসা করে একেবারে নিশ্চিত হয়ে দেশে আসবেন। সেদিন দাদা খুব খুশি হয়েছিলেন।

দাদা আজ আমাদের মাঝে আর নেই, বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছে। সঙ্গীতে তার আসন কোথায় তা কারোরই বলার প্রয়োজন আছে বলে মনে করি না। তিনি অনেক কিছুর ঊর্ধ্বে। তিনি তার গানেই আমাদের মধ্যে বেঁচে থাকবেন। দাদা যেখানে থাক, ভালো থাক- এটাই কামনা করি।”

আর্কাইভ

ক্যালেন্ডার

April 2025
M T W T F S S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930