হ্যালোডেস্ক
শীতের সময়ে গর্ভাবস্থায় অনেক মা সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত হয়ে থাকেন। সর্দি-কাশির রোগ জীবাণু বাতাসের মাধ্যমে ছড়ায় বলে হাঁচি-কাশির মাধ্যমে গর্ভবতী মাও সহজেই সংক্রমিত হতে পারেন।
গর্ভাবস্থায় হরমোনজনিত পরিবর্তনের কারণে মায়ের রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। সাধারণত সর্দি লাগলে বিশ্রাম নিলেই তা সেরে যায়। কিন্তু ভাইরাসজনিত সর্দি লাগলে গর্ভবতী মায়ের জ্বর হতে পারে। এমনকি ফুসফুসে প্রদাহও হতে পারে। তাই এই সময়ে একটু বেশি সাবধান থাকতে হয়।
মায়ের শরীর খারাপ হওয়ার সঙ্গে গর্ভের শিশুর শারীরিক গঠনেরও ক্ষতি হতে পারে। তাই সর্দি-কাশি এক সপ্তাহের মধ্যেই কোনো ওষুধ ছাড়াই নিজে নিজেই ভালো হয়ে যায়। ওষুধ গ্রহণের আগে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে নিতে হবে।
আসুন জেনে নিই গর্ভবতী মায়ের সর্দি-কাশি নিরাময়ের কিছু ঘরোয়া উপায়-
বিশ্রাম নিতে হবে
গর্ভাবস্থায় মায়ের ঠাণ্ডা, সর্দি-কাশির সমস্যা হলে একবারে অবহেলা করা যাবে না। কারণ এই সর্দি-কাশি থেকে বিভিন্ন ধরনের শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিতে হবে।
ফুটন্ত পানির ভাপ নেয়া
সর্দি-কাশির সমস্যা হলে গামলায় ফুটন্ত গরম পানির ভাপ মুখে নিন। নাক বন্ধ হলে ড্রব দেওয়া যেতে পারে।
গরম পানি দিয়ে গড়গড়া
ঠাণ্ডা লাগলে কুসুম কুসুম গরম পানি দিয়ে গড়গড়া করা যেতে পারে। এ ভেতরে কফ থাকলে পরিষ্কার হয়ে যাবে। প্রতিদিন কমপক্ষে দুই থেকে তিনবার গড়গড়া করলে গলাব্যথা ও খুসখুসে ভাব কমে যাবে। এ ছাড়া গরম পানির মধ্যে লবঙ্গ অথবা আদা কুচি মেশানো যেতে পারে।
আদা চা পান করুন
সর্দি-কাশি ও গলাব্যথায় আদা চা খুবই কার্যকর। আদা চায়ের নানা রকম ভেষজ গুণ রয়েছে। ফলে এ চা ঠাণ্ডা লাগা কিংবা অস্বস্তি থেকে দ্রুত মুক্তি পাওয়া যায়।
মধু খেতে পারেন
সর্দি-কাশি সারাতে মধু ভালো কাজ করে। সকালে কুসুম কুসুম গরম পানির সঙ্গে মধু মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে। চায়ের সঙ্গে মধু মিশিয়ে এবং লেবু ও মধু একসঙ্গেও খাওয়া যায়। এতেও ভালো ফল পাওয়া যায়।
বেশি বেশি পানি পান
গর্ভাবস্থায় বেশি করে বিশুদ্ধ পানি পান করুন। এত আপনার শরীর ভালো থাকবে।
পুষ্টিকর খাবার
গর্ভাবস্থায় মায়ের পুষ্টিকর খাবার খাওয়া জরুরি। গর্ভাবস্থায় ওষুধ কম খাওয়া ভালো। ওষুধ গ্রহণের আগে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
ছবি: ফারহানা ফারা
Add Comment