সাময়িকী: শুক্র ও শনিবার
-দুলাল চন্দ্র সরকার
শরতের অবসানে হেমন্তের আগমনে
মাঠ আজ পরিপূর্ণ ধানে
মাঠে মাঠে পাকা ধান কৃষক গাহিছে গান
নবান্নের শুভ আগমনে॥
নবান্ন এসেছে দ্বারে কৃষকের ঘরে ঘরে
নতুন চাউলের হবে প্রয়োজন
তাই কৃষক কাস্তে হাতে মাথাল পরিয়া মাথে
মাঠে মাঠে ধান কাটার করে আয়োজন ॥
ধানের মধুরও গন্ধে কৃষকরা মহানন্দে
দিনভর কাটিল যে ধান
কৃষাণীর তাতে যত্নের সাথে
আয়োজন করে খাবারের নানা উপাদান॥
আতপ চাউলের সাথে দুগ্ধ মিশিয়ে তাতে
মধুময় মিষ্টান্ন করে যে রন্ধন
অগ্রহায়ণের প্রথম দিনে বিলাইবে জনে জনে
এত বাঙালির প্রীতির বন্ধন॥
শুধু নয় পিঠা পুলি নানা শাকসবজি তুলি
রাঁধিল নানা ব্যঞ্জনের বাহার
বাঙালিরা মাছে-ভাতে মিষ্টি-দধি লইয়া পাতে
হাঁপুস-হুঁপুস করে যে আহার॥
ভোজনের অবসান হাতে লইয়া পান
মুখে গুজে দেয় জনে জনে
শহর কিংবা গ্রাম খাবারের ধুমধাম
প্রতি বছর এই নবান্নের দিনে ॥
অগ্রহায়ণে কাটে ধান সদানন্দ চাষির প্রাণ
অভাব নাই কারও কোন ঘরে
কৃষক-কৃষাণী মিলে পাকা ধান ঘরে তুলে
নবান্নের আয়োজন সবে মিলে করে॥
এটাই বাঙালির গর্ব মাসে মাসে নানা পর্ব
পর্বে পর্বে নানা উপাচার,
যুগে যুগে নবান্ন আসে প্রতি অগ্রহায়ণ মাসে
এটাই বাঙালির কৃষ্টি স্বাধিকার॥

Add Comment