পর্ব- ০৩
সাময়িকী: শুক্র ও শনিবার
-সালেহ রনক
পাঁচ
বাসার নিচে দাঁড়িয়ে স্ত্রীর জন্য অপেক্ষা করছি। রৌদ্রোজ্জ্বল দিন। রাস্তার দুপাশে ভ্রাম্যমান দোকানীরা সবজি ও মাছের পসরা সাজিয়ে বসেছেন। দাঁড়িয়ে মানুষের নানা বিচিত্রতা অবলোকন করছি একমনে।
গেট খোলার শব্দে পিছন ফিরে তাকাতেই দেখি আকমল সাহেব তার পুরো পরিবার নিয়ে কোথায় যেন যাচ্ছেন। ভদ্রলোক আজও স্যুটেট বুটেট। সিমরিনের মা তার পরিচিত সাজে। সিমরিন সর্টসের সাথে গোলাপী টিশার্ট আর পায়ে সাদা কেডস পরে আছে । একপায়ে কি যেন একটা বাঁধা, নুপুরের মতোই দেখতে। সিমরিনের ভাই মাসউদকে অফহোয়াইট স্যুটে দারুণ লাগছে।
সিমরিনের মা নিজ থেকেই কাছে এসে বললেন, “ভাই দোয়া করবেন। শুভ কাজে যাচ্ছি। ”
আমি আগামাথা কিছু বুঝতে না পেরে জিজ্ঞাসা করতে যাচ্ছিলাম কিসের শুভ কাজ। কিন্তু প্রশ্ন করতে হয়নি। সিমরিনের মা গলার স্বর নিচু করে নিজ থেকেই বলে উঠলেন, “বেশ পরহেজগার একটা মেয়ের খোঁজ পেয়েছি। পছন্দ হয়ে গেলে আজই কথা পাকা করে আসবো। সম্ভব হলে মেয়েকে আংটি পরিয়ে দিয়ে আসবো। দোয়া করবেন কেমন। ”
জ্বী দোয়া করি।
গাড়ি চলে আসাতে তারা সবাই গিয়ে গাড়িতে বসলো। গাড়িটা যতক্ষণ পর্যন্ত দৃষ্টি সীমার ভিতর ছিলো ততক্ষণ কানে একটি কথাই বার বার বেজেছে। পরহেজগার।
Add Comment