সাময়িকী : শুক্র ও শনিবার
-ফরিদ আহমদ দুলাল
বোয়াল রাক্ষুসে মাছ সে-তো জানা ছিলো
ওর মাথা ব্যবচ্ছেদে আজ কারণটা বোঝা গেলো!
সে-বার বর্ষায় এক-ডিঙি পোনা কিনে ভেবেছিলাম হলাম লাভবান
তখন দস্তুর মৎস্যচাষী লক্ষ মীনশিশু পুকুরে সন্তরমান
ঝাঁক বেঁধে সাঁতরায় বিকেলে অবিরাম;
যোগ হলো লক্ষের সাঁতারে নদী থেকে কেনা সহস্রের ভীড়
আগামীর স্বপ্ন খেলা করে বুকে প্রেমিক চাষীর।
সকাল-বিকেল খৈল-কুড়া বিতরণ মীনের স্বাস্থ্যচিন্তায়
মৎস্যশিশু খৈল-কুড়া খায় তবু কেন কমে যায় গণনে-সংখ্যায়!
অতঃপর বুঝি পুকুরে অনুপ্রবেশ করেছে বোয়ালশিশু কতিপয়
ওরা খায় খৈল-কুড়া সাথে মীনশিশুর সঞ্চয়!
জানা হয়েছিলো বোয়ালের রাক্ষুসে দাপট
জানা হলো মৎস্যচাষে রাক্ষস বোয়ালে কত প্রকট সংকট!
আজ জানা হলো বোয়ালচরিত মুখ ভরা ধারালো দাঁতের সারি তার
বিচিত্র বিন্যাসে স্তরে স্তরে সাজানো দন্তবাহার!
জলবিশ্বে বোয়ালেরা নিত্য দাপটের সাথে ঘোরে
বিশ্বময় বোয়ালচরিত রাক্ষসেরা রক্ত ঠোঁটে নিয়ে ওড়ে,
স্বার্থান্ধ পৃথিবীজোড়া বোয়ালের ভীড়
যতোবার লোভ জাগে বোয়ালের বিষদাঁত করে সমাজ অস্থির!
Add Comment