সাময়িকী: শুক্র ও শনিবার
-শিরিন আক্তার শীলা
জানালার গ্রিল ধরে দাঁড়িয়ে দূরের আকাশ দেখে অনামিকা। আকাশটা আজ খুব নীল। ইডেন মহিলা কলেজের ২১১ নং রাজিয়া হলের এই জানালা দিয়ে প্রতিদিনই অনেক কিছু দেখে সে। পলাশীর রাস্তা ও দেখা যায়, কত রঙের মানুষ যে এই রাস্তা দিয়ে হেঁটে যায়, আর অনামিকা তা চেয়ে চেয়ে দেখে।
কালো বোরকা পরা এক নারীকে দেখে মায়ের মুখ খানা ভেসে উঠে। মা বার বার করে বলে দিয়েছেন হোষ্টেলে ভালো হয়ে চলবি, পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়বি, কারো সাথে প্রেমে জড়াবি না, দিনকাল ভালো না। তোকে ভালো বংশের ছেলে দেখে বিয়ে দেবো। মায়ের কথার অবাধ্য হয়নি কোনো দিন সে, আজো না। নরম স্বভাবের বাধ্য মেয়ে অনামিকা। কিন্তু বেশ চঞ্চল, যেখানে যাবে একদম জমিয়ে ফেলবে।
শুধু প্রেম করা হয়নি তার, বিকেল হলেই কলেজ গেইটের সামনের ফুটপাতে জোড়ায় জোড়ায় বসে কি সুন্দর গল্প করে ইডেন কন্যারা। বড় সাধ হয় অনামিকার, আহা! একটা যদি প্রেম হতো ও তো গল্প করতে পারতো কারো পাশে বসে। পরক্ষণেই ভেসে ওঠে মায়ের মুখ টি, যা দিন কাল পড়েছে, খবরদার! এখনকার ছেলেরা ভালো না, চারপাশে কত কি ঘটছে, দেখে শুনে চলবি, তুই তো একটা বোকা মেয়ে।
সত্যি অনামিকা একটা বোকা মেয়ে, তার জীবনে প্রেম আসেনি। হঠাৎ চমকে উঠে সে, জানালা দিয়ে তাকিয়ে আছে হাসি হাসি মুখের এক অচেনা মানুষ। লম্বা, শ্যামল রঙের মিষ্টি চেহারা,,,, ,,,
তাকে এক নজর দেখেই মনে হয় কোথায় যেন দেখেছে সে, কিন্তু মায়ের মুখ খানা ভেসে ওঠে,,, যা দিন কাল পড়েছে, খবরদার!!!
Add Comment