ফেসবুক থেকে নেয়া
হ্যালোডেস্ক
বিপদের রাস্তা নাকি দীর্ঘতর হয়। তার প্রমান পেয়েছিলাম, যেদিন মা মারা গেলেন। আমি তখন মানিকগঞ্জে হাসিন মামা’দের বাড়ীতে বেড়াতে গেছি ; মায়ের মৃত্যু খবর পেয়ে
মানিকগঞ্জ থেকে রওনা হলাম হাসিন মামার সহযোগিতায়। রাস্তা ফাঁকা, গাড়ী যেন এগোয় না প্রতিটা মিনিট যেন ঘন্টা। বাবা মারা গেলেন মায়ের মৃত্যুর ঠিক একমাস পরে ; আমি বাংলাভিশনে। অফিস ডিউটি চলছে, খবর এলো বাবা নেই ; ঠিক রওনা হলাম বাড়ীতে ; রাস্তা এগোয় না সময় যেন থেমে থাকে। বড়চাচী মারা গেলেন সময়, রাস্তা যেন একই ফ্রেমে আটকানো, গন্তব্যে যেন দূর থেকে দূরে সরে যায়। দীর্ঘক্ষণ রাত জাগলে ক্লান্তি খুদা তৃঞ্চা খুব পেয়ে বসে। খুব কাছেই হয়তো রাতের পাখিটা ডেকে জানান দেয় ; রাত প্রহরের। পাশের বাড়ী থেকেই হয়তো একটা সুর ভেসে আসে কেমন যেন বিস্বাদ লাগে। আনমনে কতো ছবি কতো কথা, বাবা- মা, চাচা-চাচীদের স্নেহমাখা নিরেট ছবি জেগে উঠে। শতক স্মৃতির ধুলোয় সারা শরীর ভর্তি হয়ে যায়, ধুলো মুছতে মুছতে সামনে হাজির হয় ছোট্টবেলার বাবা-মা’র আদর, চাচা চাচীদের প্রশ্রয়। সকালের কাঁচা রোদে বসে মুড়ি খাওয়া, গল্প শোনা; দাদাবাড়ীর সেই প্রকান্ড টিনের ঘরটার বারান্দা যেন এখনো আমার অপেক্ষায়। সব সুনশান নীরবতা।
Add Comment