নেতিবাচক অভ্যাসগুলো দূর করুন
জীবনে সুখী হতে কে না চায়, কিন্তু সবাই কি পারে সুখী হতে? নেতিবাচক অভ্যাসগুলো দূর করে নিজেকে সুখী করতে নিজেকেই নিজের সাহায্য করতে হবে। আমরা নেতিবাচক বিষয়ের চর্চা আমরা সচেতন বা অবচেতন মনে বারবার করে থাকি।
এখানে রইল কিছু নেতিবাচক অভ্যাসের কথা, যেগুলো দূর করতে পারলে অনেকটাই সুখী হতে পারবেন আপনি। জীবনধারা বিষয়ক ওয়েবসাইট ফেয়ারলেস সোল প্রকাশ করেছে এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন।
অভিযোগ করা: অনেকেই সারাক্ষণ অভিযোগ করতে থাকে। অভিযোগকারী ব্যক্তি সবসময় ভাবে যে সমস্যাটি অন্যের ভুলের কারণে হয়েছে। সে সমাধানের পথ না খুঁজে অন্যকে দোষারোপ করতে থাকে। আসলে এই অভ্যাসটি কিন্তু অভিযোগকারী ব্যক্তিকেই ক্ষতিগ্রস্ত করে, তার মানসিক শান্তি নষ্ট করে। তাই সুখী হতে হলে অভিযোগ করা বাদ দিয়ে সমাধানের পথ খুঁজুন।
নিজেকে পূর্ণ করতে হলে আরেকজন মানুষ চাই: মানুষ সবসময় চায় অন্য কেউ তাকে ভালোবাসুক বা পছন্দ করুক। সে অন্যের প্রতি আসক্ত হতে চায়। সে ভাবে নিজেকে পূর্ণ করতে চাইলে আরেকজন মানুষ চাই।
মনোবিশেষজ্ঞরা বলেন, আপনি ভালোবাসুন, জীবনকে উপভোগ করুন, তবে কারো প্রতি আসক্ত না হয়ে পড়াই ভালো। আসক্তি জীবনকে অসুখী করে দেয়। আসলে নিজেকে পূর্ণ করতে যখন আপনি সারাক্ষণ আরেকজন মানুষ খুঁজতে থাকবেন, তখন আপনার ভেতর এক ধরনের হতাশা, বিষণ্ণতা তৈরি হবে। তাই, এ চিন্তাটি বাদ দেওয়াই স্বাস্থ্যকর।
সফল মানুষ লোভী ও স্বার্থপর: সফলতা কী? যুক্তরাষ্ট্রের লেখক, ইয়ার্ল নাইটেঙ্গেল এর ভালো ব্যাখ্যা দিয়েছেন। তাঁর মতে, সফলতা আসলে সেই জিনিস যেটি আপনার জীবনমান উন্নয়নের জন্য আপনি চান। এটি টাকা নয়, তবে টাকা এর একটি অংশ। এটি কেবল মেটেরিয়াল বস্তু নয়, তবে এটি এর একটি অংশ।
অনেকেই ভাবে, সফল মানুষ স্বার্থপর বা লোভী হয়। আসলে সত্যটি হলো পরিশ্রম ছাড়া সফলতা আসে না। তাই পরিশ্রম করুন, সুখী থাকুন।
পরনিন্দা করা: অনেকেই পরনিন্দা করতে বেশ পছন্দ করে। কারো কারো ক্ষেত্রে এটি তো বিনোদনের পর্যায়েই পৌঁছে যায়। আপনার কি মনে হয় পরনিন্দাকারী সুখী ব্যক্তি? সত্যিটা হলো, পরনিন্দাকারী ব্যক্তিরা ব্যক্তিগত জীবনে তেমন সুখী নয়। তারা নিজেদের জীবনকে উন্নত না করে অন্যের জীবনের আলোচনার পেছনেই সময় নষ্ট করে। তাই পরনিন্দা না করে আত্মসমালোচনা করুন এবং নিজের জীবনের মান উন্নত করুন।
তথ্য: সংগ্রহ
Add Comment