হ্যালোডেস্ক
গত ২১ জুলাই পশ্চিমবঙ্গের রানাঘাট রেল প্ল্যাটফর্মে বসে লতা মঙ্গেশকরের ‘এক প্যায়ার কা নাগমা হ্যায়’ গানটি গেয়ে রাতারাতি বিখ্যাত হয়ে উঠেছিলেন তিনি। এরপরই ভারতের পাশাপাশি বাংলাদেশ থেকেও তাকে দিয়ে গান গাওয়ার প্রস্তাব আসতে থাকে। কিছু রিয়্যালিটি শো’তেও ডাক পান তিনি। সম্প্রতি মুম্বাইয়ে গিয়ে সঙ্গীতকার হিমেশ রেশমিয়ার সাথে দুইটি গানে কণ্ঠ দেন রানু। ভাইরাল হওয়া সেই গায়িকা রানু মন্ডলকে পরামর্শ দিলেন কিংবদন্তী সঙ্গীতশিল্পী লতা মঙ্গেশকর।
লতা বলেন, ‘কেউ যদি আমার নাম ও কর্ম থেকে উপকৃত হন তবে আমি নিজেকে ভাগ্যবান বোধ করি। তবে আমি এও অনুভব করি যে সাফল্যের জন্য অনুকরণ কোন নির্ভরযোগ্য এবং টেকসই পন্থা নয়। আমার গান, কিশোর দা (কুমার), মহম্মদ রফি সাহেব, মুকেশ ভাইয়া বা আশা ভোঁসলের গান গেয়ে উচ্চাকাঙ্খী গায়ক-গায়িকারা হয়তো কিছুদিনের জন্য নজর টানতে সক্ষম হতে পারেন কিন্তু তা দিয়ে বেশিদিন টিকে থাকা যায় না।’
টেলিভিশনের গানের রিয়্যালিটি শোগুলিতে প্রতিযোগীরা যেভাবে অন্যের গান গেয়ে রাতারাতি জনপ্রিয় হন তা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ভারতের এই কিংবদন্তী গায়িকা। লতা বলেন, ‘অনেক প্রতিযোগীরাই আমার গানগুলো অত্যন্ত সুন্দর করে গায়। তবে সাফল্যের প্রথম ঝলকের পরে তাদের মধ্যে কতজনের কথা মানুষ মনে রাখে? আমি কেবল মাত্র সুনিধী চৌহান ও শ্রেয়া ঘোষালকেই জানি।’
উচ্চাকাঙ্খী গায়ক-গায়িকাদের প্রতি লতার পরামর্শ, ‘আসল হোন। আমার এবং আমার সহকর্মীদের এভারগ্রীন গানগুলি গাইতেই পরেন। তবে একটা সময়ের পর গায়ক বা গায়িকাকে তাঁর নিজের গানটির সন্ধান করতে হবে।’
বোন আশা ভোঁসলের উদাহরণ টেনে লতা বলেন, ‘আশা যদি নিজের স্টাইলে গান গাওয়ার বিষয়ে জোর না দিত, তবে ওঁ চিরকালই আমার ছায়ায় ঢাকা পড়ে থাকতো। একজন ব্যক্তির নিজস্ব প্রতিভা তাকে কত দূরে নিয়ে যেতে পারে-তার সবচেয়ে বড় উদাহরণ তিনিই।’
সূত্র: বিডি প্রতিদিন
Add Comment